পাঁচ ক্যাটাগরিতে ৩১ শিল্পপ্রতিষ্ঠান পেয়েছে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯।
বৃহৎ, মাঝারি, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও রাষ্ট্রায়ত্ত খাতে বিজয়ী শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে এ পুরস্কার দেয়া হয়। এ ছাড়া ট্রেডবডি ও অ্যাসোসিয়েশন ক্যাটাগরিতে ইনস্টিটিউশনাল অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে দুটি ব্যবসায়িক সংগঠন।
সোমবার শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘ট্রফি বিতরণ ও সনদ প্রদান’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও)।
শিল্পসচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
এ সময় এনপিওর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার ছাড়াও পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক-প্রতিনিধিসহ সরকারি-বেসরকারি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বঙ্গ বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস্ লি., আরএফএল ইলেকট্রনিকস লি., রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লি., ইস্পাহানি টি লি., নাটোর অ্যাগ্রো লি., প্লামি ফ্যাশনস্ লি., ইউনিভার্সেল জিন্স লি., জেনেসিস ওয়াশিং লি., আরএফএল প্লাস্টিকস্ লি., ডিউরেবল প্লাস্টিক লি., আকিজ জুট মিলস্ লি., আইয়ান জুট মিলস্ লি., ওয়ান ব্যাংক লি., সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স লি., ব্রেইন স্টেশন ২৩ লি. ও হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড।
আটটি পুরস্কার পেয়েছে মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরি খাতে। বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে গেট ওয়েল লি., নর্দান ফ্লাওয়ার মিলস্ লি., রোমানিয়া ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লি., কনসেপ্ট নিটিং লি., বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল লি., প্যাকম্যাট ইন্ডাস্ট্রিজ লি., বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশন লি. ও কিউ এন এস শিপিং লজিস্টিকস্ লিমিটেড।
এবার ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে দেয়া হয়েছে দুটি অ্যাওয়ার্ড। বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো এস আর হ্যান্ডিক্রাফটস্ ও রংপুর ফাউন্ড্রি লি.।
এ ছাড়া মাসকো ডেইরি এন্টারপ্রাইজ এবং জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংকে দেয়া হয়েছে মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে বিজয়ীর পুরস্কার।
আর রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরিতে পুরস্কার বিজয়ী তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো গাজী ওয়্যারস্ লি., কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লি. ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট।
অন্যদিকে ট্রেডবডি ও অ্যাসোসিয়েশন ক্যাটাগরিতে ইনস্টিটিউশনাল অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী দুইটি ব্যবসায়িক সংগঠন হলো বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের উদ্দেশে শিল্পমন্ত্রী নিজ নিজ শিল্পকারখানায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অন্যান্য শিল্পকারখানার জন্যও মডেল হিসেবে পরিচিতি অর্জনের তাগিদ দেন। একই সঙ্গে সবুজ শিল্প ও উৎপাদনে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়লে মালিক, শ্রমিক, ভোক্তা এমনকি সরকারও তার সুফল পেয়ে থাকে। দক্ষতার সঙ্গে এবং কম খরচে পণ্য বা সেবা উৎপাদন মালিকপক্ষের আকাঙ্ক্ষার পাশাপাশি শ্রমিকদের প্রতি যত্নশীল ও গুণগতমানের পণ্য উৎপাদনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআইর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, সরকারের সহযোগিতা ও ব্যবসায়ীদের চেষ্টায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি আগের মতো ঘুরে দাঁড়াবে।